Ratings51
Average rating3.7
কি লিখবো বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে ঘিলুতে আর্থারাইটিস হয়েছে।
একজন অর্ধোন্মাদ আমেরিকান সিরিয়াল কিলারের গল্প এটা। দুনিয়ার হাজারটা শহর বাদ দিয়ে সে জাপানের টোকিওতে খুন করতে এসেছে। টোকিওতেই ক্যানো এসেছে? মা দুর্গা জানেন! লেখার ধাঁচ দেখে মনে হচ্ছিলো, সদ্য BDSM পর্নোগ্রাফির স্বাদ পেয়েছে এমন কোনো ইশকুল বালকের রচনা এটা। আর কাহিনির যা ছিরি! সেক্সুয়াল থ্রিলার লিখতে গিয়ে সেক্সুয়াল কমেডি লিখে ফেলেছে। গল্পের গরু শুধু গাছে ওঠেনি, মগডালে বসে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে! একই সঙ্গে হাস্যকর এবং বিরক্তিকর জিনিস উৎপাদন করা যেমন-তেমন বাবাজির কম্মো নয়। রামছাগলের ক্যানো দাড়ি থাকে, এই প্রশ্নের যেমন কোনো উত্তর হয় না, এই গল্পের খুনির কাজকারবার এবং অন্যান্য ঘটনার তেমনি কোনো লজিক্যাল উত্তর নেই। এমনকি বইয়ের নামকরণের হেতুটাও উদ্ধার করতে পারলাম না আমি। বইয়ের শেষ অংশ জুড়ে খুনি তার ব্যাকস্টোরি বোঝাবার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেইসব চূড়ান্ত হাবিজাবি কথাবার্তা বিশ্লেষণ করার শক্তি আপাতত হারিয়ে ফেলেছি আমি। লেখক তাঁর চরিত্রদের সঙ্গে গাঁজার নৌকায় চড়ে পাহাড়তলি ছাড়িয়ে আরো বহুদূর চলে গেছেন, কিন্তু বেচারা পাঠক আমি, ফেন্সিডিল ছাড়াই টাশকি খেয়ে বসে আছি!
মানে, পোস্ট-মডার্নিস্ট noir-এর নামে হাতির ডিম, ঘোড়ার ডিম, শুঁয়োপোকার ডিম, যা-খুশি চালিয়ে দিলেই হলো, নাকি? টাইমস লিটারারি সাপ্লিমেন্ট আবার এই বইকে “স্মার্ট অ্যান্ড স্ন্যাপি সাইকোসেক্সুয়াল পাল্প থ্রিলার” উপাধি দিয়েছে। “দা টাইমস” ম্যাগাজিন বলেছে, এই বই পড়ে এডগার অ্যালান পো এবং দস্তয়েভস্কির কথা মনে পড়ে গ্যাছে তাদের। বলিহারি মাইরি! বলিহারি! “আপনি থাকচেন স্যার!”
শিগগিরি খানতিনেক শিব্রামের গল্প না-পড়লে এই অখাদ্য রাবিশের প্রভাব শরীর থেকে বেরোবে না!