Ratings1
Average rating3
কোথায় যেন দেখেছিলাম এটা বাংলার প্রথম গোয়েন্দাকাহিনী, আদতে তা নয়। আর গুপ্তকথা মানেই যে সমাজচক্ষুর আড়ালের কোন নিষিদ্ধ বিষয়, এটা তাও নয়। হরিদাস নামের এক জন্ম-পরিচয়হীন বালকের জীবনের এক অংশের ঘটনা বিবরণ মাত্র।
নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে চলা হরিদাস, তার নানান বিপদে পড়া আর সেই বিপদ থেকে উদ্ধারলাভের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে কাহিনী। সবচেয়ে বিরক্তিও লেগেছে এই জায়গাটুকুই, যতোই বিপদে পড়ুক না কেন হরিদাস, তার উদ্ধার অবশ্যম্ভাবি এবং ক্ষেত্রবিশেষে অতিনাটকীয়। আর যখনই সে আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে তখনই অতিভালোমানুষ কেউ না কেউ তার আশ্রয়দাতা হয়। সাথে সাথে ফুটে উঠেছে তৎকালীন সমাজব্যবস্থার চিত্র। মানুষের লোভ, কামনা-বাসনা এসব ছিলো এই উপন্যাসের অনেকটা অংশ জুড়েই।
ওহ, ক্ষেত্রবিশেষে কিছু কিছু জায়গায় এটাকে গোয়েন্দাকাহিনী বলা যেতেই পারে। সত্য উদঘাটনে যেরকম দৌড়-ঝাঁপ করতে হয়েছে হরিদাসকে!
তবে শেষদিকে লেখক ধর্মের কল যেভাবে বাতাসে নাড়িয়েছেন, তাতে জিনিসটা অতিরিক্ত মাত্রার নাটকীয় মনে হয়েছে।
মোটের উপর পড়া যায়, খুব একটা খারাপ লাগবে বলে মনে হয় না।