Ratings1
Average rating3
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-সার্ধশতবার্ষিকী চলছে। তাই স্থির করেছি এবছর তাঁর সমস্ত লেখা আবার পড়ে ফেলবো একটু একটু করে। এটা তাঁর প্রথম বই। আয়তনে সবচেয়ে ছোট বইও বটে। বইটির পৃষ্ঠাসংখ্যা - পনেরো মিনিট।
গল্পটা খুবই পরিচিত। মহাভারতের থেকে নেওয়া গল্প। একই গল্প নিয়ে কালিদাস নাটক লিখেছিলেন - অভিজ্ঞানশকুন্তলম্। কালিদাসের ভার্শনে প্রাপ্তবয়সোচিত উপাদান আছে প্রচুর। খোকাখুকুরা পড়বে বলে অবন ঠাকুরের বইতে সেসব নেই। গল্পটা হলো, একজন মানুষের দ্বারা আরেকজন মানুষ কিভাবে অহেতুক উপেক্ষিত হচ্ছে।
“অবন ঠাকুর ছবি লেখেন”, অর্থাৎ কেবলমাত্র শাব্দিক বর্ণনার মাধুর্যেই যেন চোখের সামনে একটা চিত্রশিল্প দেখতে পাওয়া যাচ্ছে - অবনীন্দ্রনাথের এই ট্রেডমার্ক বৈশিষ্ট্যটা তাঁর প্রথম বইতেই চিনে নেওয়া যায়। কিন্তু উপভোগ্য হয়ে ওঠেনা। কেমন যেন বিরক্ত লাগে এত এত বর্ণনার সমাহার। যদিও শুধু এই বইটার ক্ষেত্রেই এই বিরক্তির কথাটা প্রযোজ্য। তাঁর পরের বইগুলো তো দারুন দুর্দান্ত!
#অবনঠাকুর_১৫০