Ratings1
Average rating2
আধ্যাত্মিকতা, ঈশ্বরচিন্তা (কিংবা নিরীশ্বরচিন্তা), নর-নারীর পারস্পরিক সম্পর্ক এবং তাদের বিশ্বাস ও চেতনার বিবর্তন বিষয়ক এই একটা “দার্শনিক উপন্যাস” লিখেছেন রবীন্দ্রনাথ।
বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্করহিত এই উপন্যাসটা পড়তে গিয়ে কী যে বিরক্ত লেগেছে!
মানুষের চরিত্র এবং জীবনের পরিস্থিতি ও মূল্যবোধকে বিষয়বস্তু করে লিখিত রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্পগুলো যখন পড়ি, তাদের প্রাঞ্জল, পরিমিত এবং realistic প্রকাশশৈলীর জাদুতে মুগ্ধ হই। গল্পগুলো পড়লে বোঝা যায়, তাদের নির্মাণের পশ্চাতে লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতার একটি জোরালো প্রেক্ষাপট আছে। চরিত্রগুলো জ্যান্ত।
অথচ, দু-তিনটে বাদ দিয়ে তাঁর বেশিরভাগ উপন্যাস পড়তে গিয়ে ঠিক উল্টোটা ঘটে। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের পটভূমি, চরিত্র, ঘটনানির্মাণ, সবকিছুই কেমন যেন কষ্টকল্পিত, কৃত্রিম। আইডিয়ার গভীরতা আছে, কিন্তু কাহিনি এবং চরিত্রনির্মাণে লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতার ছোঁয়া পাইনা। দার্শনিক আইডিয়া বিতরণ করা আর উপন্যাস রচনায় তো পার্থক্য আছে।
Verbosity'র দ্বারা জর্জরিত ন্যারেটিভ এবং মেকি কথোপকথনের মারপ্যাঁচে সাজানো এইরকম খান-চারেক “অন্য ধারার” উপন্যাস লিখেছিলেন গুরুদেব— কী যে লিখেছেন, কী যে বোঝাতে চেয়েছেন, উপন্যাসের অন্তিমে কী যে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, অবাস্তব উদ্ভট এই চরিত্রদের জোগাড়ই বা করেছেন কোথা থেকে... ভগাই জানে!