Ratings1
Average rating3
লীলা মজুমদারের জন্মদিন আজকে। সেই কথা ভেবে রচনাসমগ্র বের করে মাকু'র গল্পটা পড়লাম।
মাকু একজন কলের পুতুল, অর্থাৎ রোবট। সে প্রায় সবকিছুই করতে পারে। কথা বলা, গান গাওয়া, নাচা, অঙ্ক কষা, হাতুড়ি পেটানো, দড়ির জট খোলা, পেরেক ঠোকা, ইস্ত্রি করা, রান্না করা, কাপড় কাচা, সেলাই কল চালানো... সবকিছুই করতে পারে। শুধু দুটো কাজ পারেনা।
হাসতে পারেনা আর কাঁদতে পারেনা।
এই দুটো ভীষণ জরুরি কাজ মাকুকে শেখাতে ভুলে গেছে তার মালিক। সোনা আর টিয়া দুই বোন, ঘটনাচক্রে তারা মাকু'র জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তারপর ঘটতে থাকে নানাবিধ অশৈলী কার্যকলাপ।
অল্পবয়েসি পাঠকদের জন্যে গল্প লিখেছেন, তবু তাঁর গল্পে জীবনের জটিল বিষয়গুলো বাদ দিতেন না লীলা মজুমদার। শিশুরা আসলে সবকিছুই বোঝে। মাঝে মাঝে বড়োদের চেয়েও বেশি বোঝে। এই কারণেই, পাঠকের বয়স বেড়ে গেলেও এইসব গল্পের মজা ফুরোয় না।
এই গল্পটা যদিও বেশ ভালোই লাগলো, কিন্তু কেমন যেন খাপছাড়া এলোমেলো মনে হলো। চরিত্রের সংখ্যা আরেকটু কম হলে ভালো হতো। তবু একটা কথা স্বীকার করতেই হয়, লীলা মজুমদারের মাঝারি মানের লেখাতেও ভালোলাগার অনেক রসদ খুঁজে পাওয়া যায়।
শুভ জন্মদিন, লীলাপিসি!
ও হ্যাঁ বলতে ভুলে যাচ্ছিলাম, এই বইয়ের প্রচ্ছদ আর ভিতরের অলংকরণ করেছেন সত্যজিৎ রায়। প্রচ্ছদটা আমার খুব প্রিয়। বাংলা অক্ষর দিয়ে কেমন সুন্দর মুখের অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন সত্যজিৎ। একেবারে লা-জবাব!