Ratings1
Average rating5
বোঝাই যাচ্ছে বইটা রবীন্দ্রনাথের ইরানভ্রমণ নিয়ে। সাথে নাতিদীর্ঘ ইরাকভ্রমণ আছে। যা বর্ণিত হলো তাতে বিষাদ জাগে। বিষাদ জাগে এইজন্য যে একসময় এই দুটো দেশ ভারতবর্ষের চেয়ে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল ছিল। এখন মধ্যপ্রাচ্যের পৈশাচিকতা তাদের ভেতরেও কম না। বোঝা যায় “ইহুদী-নাসারাদের ষড়যন্ত্র” রটনার কিছুটা সত্যি বটে। তবে দুরাচারের বীজ সে ধর্মের ভিতরেই ছিল।
রবীন্দ্রনাথ বইটায় প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাখ্যা করেছেন। এই বইটা খুব বেশি জনপ্রিয় নয় বলেই হয়ত এই বিষয়ে তার মতামত সম্পর্কে প্রশ্ন হলে বইটার রেফারেন্স আসে না। সত্তরের রবীন্দ্রনাথ, পরিপক্ক রবীন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মে ফাঁকিবাজি এবং দুরাচার সম্পর্কে যে সম্যক ধারণা ছিল তা বোঝা গেলো। ধর্মগুলো যে বিশেষশ্রেণীর স্বার্থে টিকিয়ে রাখা এবং এই যুগের তুলনায় নিতান্তই অব্যবহারযোগ্য তা সোজাসুজিই বলেছেন। এমনকি সবশেষে মানুষের নৈতিক অবক্ষয় থেকে বাঁচার জন্য ধর্মের প্রয়োজনের যে যুক্তি দেওয়া হয় তাও তিনি অস্বীকার করেছেন। তারমতে আধুনিক বিষয়বুদ্ধি যেকোনো ধর্মবুদ্ধি থেকে ভালো।