Ratings1
Average rating5
মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? সবকিছু পেয়ে গেলে নাকি কোন কিছুই না পাবার বেদনায়? আচ্ছা সব পাওয়া বা সব না পাওয়া কি আদৌ সম্ভব! আসলেই কি মৃত্যুর পূর্বমূহুর্তে সমস্ত জীবনটাই ফুটে ওঠ�� চোখের সামনে?
বইটা খুলে প্রথমেই যেটা চোখে বেঁধেছিলো তা হচ্ছে এটি শুরু হয়েছে অধ্যায় ১০ থেকে এবং পর্যায়ক্রমে কমতে কমতে শেষ হয়েছে অধ্যায় ১ এ এসে। স্বাভাবিকের বাইরে যা কিছু, সবই অস্বস্তি জাগায়, কিন্তু যখন বোঝা গেলো, এ আসলে ‘ম' এর ১০ তলার ওপর থেকে পতন তখন এটা স্বাভাবিকই হয়ে আসলো।
এটাকে কি ঠিক উপন্যাস বলা যায়? কেন যেন মনে হচ্ছিলো টুকরো টুকরো পেপার কাটিং পড়ছি। তবে হ্যাঁ, বেশ কিছু কবিতা পড়া হয়ে গেলো লেখকের বদান্যতায়। আর দশটা উপন্যাসের মতো এর নির্দিষ্ট কাহিনী বিন্যাস বা পরিণতি নেই।
ওহ না, আছে তো। ১০ তলার ওপর থেকে পতনটাই কাহিনী আর এর ফলে পরিণতি যে কী হবে তা তো কারো অজানা নয়।
তবে সরলরৈখিক পতনকে ছাপিয়ে গেছে ‘ম' এর মানসিক অবস্থা। টাইম ডাইলেশনের ফলে প্রতিটি তলাতেই ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার স্মৃতি রোমন্থন করছিলো ‘ম', সেই সাথে অন্য মানুষের এবং তার মস্তিষ্কের ভেতরটাও দেখা হয়ে যাচ্ছিলো। ভালো কথা অনেক জায়গাতেই ‘ম' হয়ে গেছে ‘মা' যা চরম বিরক্তির উদ্রেক ঘটিয়েছে।
তবে হ্যাঁ, মানুষ মাত্রই ভুলভাল। তারা জেনে না জেনে ফাঁদে পড়ে, হয়তো ফাঁদ থেকে বেরোতেও চায় কেউ পারে কেউ পারে না। আবার কেউ মায়ায় জড়িয়ে ফাঁদটাকেই করে ফেলে একান্তই আপন। মানুষের মনের কদর্যতা, ঈর্ষা, নীচতা, কাম এসব উঠে এসেছে সুচারুভাবে। ১০টি পরিবারের ১০টি কাহিনী ভিন্ন হলেও সবই এক সুতোতেই গাঁথা!
শেষ করার পরে কোন এক আবেশে যেন নিথর হয়ে থাকতে হয়।