Ratings1
Average rating5
থিসিস পেপার বা তথ্যমূলক বই লেখা রবীন্দ্রনাথের ধাতে সয়নি কখনো। তথ্যের সৌন্দর্যের রেখাচিত্র আঁকা, তার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়া তোলা তার বৈশিষ্ট্য। এই বইয়ে তাই ছন্দের আদ্যপান্তের অনুপুঙ্খ বর্ণনা দেখিনা। বরং দেখি মূল ধারণাটির সাবলীল প্রকাশ।
তখনকার সময়ের প্রচলিত বুদ্ধিজিবীদের সাথে তার দ্বিমত ছিল অসংখ্য। ছান্দসিকরা মূলত পাখিপড়া পড়ে পণ্ডিত, সংস্কৃতের ছাঁদে বাঙলা কবিতা শুনে ও ব্যবচ্ছেদে অভ্যস্ত। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ প্রাকিত বাঙলায় শহুরে কবিতার পুরোহিত। তার হাতেই বাঙলার আধুনিক কবিতার সূচনা, গদ্য কবিতার প্রথম অনুমোদকও তিনি। যদিও অনেকেই বলে থাকেন, মূলত পঞ্চপাণ্ডবের যুগে আধুনিক কবিতা এসেছে, আমি মনে করি, আধুনিক গদ্যকবিতার ছন্দ ও সাবলীলতা, বিষয়বস্তুর সাধারণত্ব সবই উপস্থিত ছিল ‘পুনশ্চ' কাব্যগ্রন্থে। রবীন্দ্রনাথ এই বইতে পদ্যছন্দের ব্যবচ্ছেদের সাথে দিলেন গদ্যছন্দের প্রথম পরিচয়।