Ratings3
Average rating3.3
আমি শুনেছি এই বইটার আর জিদের ‘দি ইমমোরালিস্ট' পরপর পড়াটা শ্রেয়। সে পড়বো। তবে পরের বইটা দিয়ে প্রভাবিত হওয়ার আগে এই বইটার একক মূল্যায়ন করতে চাই।
বইটা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বোঝা কঠিন যে বইটা আদ্যপান্ত প্রেমের উপন্যাস। গল্পটা না বলে ফেলে বলতে গেলে মোটের ওপর বক্তব্যটা এরকম:
আধুনিক মানুষের যে ভিক্টোরিয়ান প্রেম, তার সাথে শরীর ও মনের বাইরে যোগ হয়েছে ভার্চ্যু নামের এক বস্তু। তার সাথে সমাজ-সাপেক্ষে সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক লটবহর। তাতে বিকারের সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত, প্রেমের প্রবৃত্তিকে সেইসব লটবহর যখন জায়গা করে না। সেই বিকারের শেষে এক ভয়াবহ শুন্যতা থাকে।
পড়তে গিয়ে আরেকটা প্রায় অবান্তর অবজার্ভেশান হচ্ছে ক্ল্যাসিক উপন্যাস, তার টেলিফোন-ইন্টারনেটহীন যুগের মতই একধরণের ধীরগতিতে চলে। এটা লেখার ধীরগতি না, মানসিকতার ধীরগতি। তাতে, ন্যারেটিভের ভেতর ব্রিদিং স্পেস থাকে। একটু বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ভাবা যায়। অটো-ডিজ্যাপেয়ারিং মেসেজিঙের যুগে সেটা কম পাওনা না।