Ratings1
Average rating5
‘শেষ লেখা' রবীন্দ্রনাথের শেষবয়সের লেখা। মূলত, মৃত্যু ও জীবনই এই কবিতাগুলোর উপজীব্য ব্যাপার।
মৃত্যু যত ঘনিয়ে আসে, মানুষের মৃত্যুচিন্তা তো বাড়ে। এরসাথে যোগ হয় স্মৃতিকাতরতা। মৃত্যুর অজ্ঞেয়তা মৃত্যুকে করে ভীতিময়। এজন্য অধিকাংশ লেখকরাই মৃত্যুর ব্যাপারে লিখতে বসলে, জীবনের হিসাব কষতে বসলে শোকে আপ্লুত হন। একটা প্রবণতা থাকে ইহজীবনকে সামান্য/ক্ষণস্থায়ী/মায়া বলে পরজীবনকে ধ্রুব বলে স্বীকৃতি দেওয়ার।
Except রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ তাঁর জীবনব্যাপী অসংখ্য শোক পেয়েছেন। লিখেছেন সেগুলো নিয়ে। কিন্তু তাঁর কাছে পরকাল ধ্রুব নয়, ইহকাল মায়া নয়। এই জীবন, এই অস্তিত্ব সবই তাঁর কাছে সত্য। অজ্ঞেয়তার ভয়ে নিজেকে স্বান্তনা দিতে গিয়ে ফাঁপা বুলিতে প্রবঞ্চনা তিনি করেননি। কবিতাগুলোতে এই বিষয়টা ভালোভাবেই চোখে পড়েছে।
কবিতাগুলো আকারে নাতিদীর্ঘ, সুসংহত পদবিন্যাসে তাঁর জীবনব্যাপী চর্চার ছাপ রয়েছে। সহজ কথাটি সহজে বলা রবীন্দ্রনাথের বৈশিষ্ট্য, তার সাথে যুক্ত হয়েছে দুর্দান্ত পরিমিতি।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে ১১নং কবিতাটি। আর সবচেয়ে পছন্দের লাইনগুলো:
“সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।”