Ratings4
Average rating4.3
জ্যাজ, সম্ভবত দুনিয়ার সবচেয়ে সর্বগ্রাসী সঙ্গীত। নিউ অরলিয়েন্সের বাডি বোল্ডেন আর কিং অলিভারের মত আফ্রিকান-আমেরিকানরা খানিকটা র্যাগটাইম, খানিকটা ব্লুজ অনুপ্রাণিত হয়ে যে সঙ্গীতের ধারা সৃষ্টি করলেন, আর্মস্ট্রং পর্যন্ত মাত্র এক প্রজন্মেই তার চেহারা গেলো অনেকটা বদলে। এরা কেউ-ই হয়ত পরের যুগের বপ, কুল বা সৌল জ্যাজের কথা ভাবতে পারেননি।
শিল্পে সাধারণত ডিকটেটরশিপই চলে। ডেমোক্রেসি যদিও বা কিছু থাকে মনে হয় সবচেয়ে বেশি আছে জ্যাজেই। জ্যাজে যারা সাইডম্যান, তারা শুধু গৎবাঁধা নোট বাজিয়ে যায় না। জ্যাজের সাথে অন্য সঙ্গীতের পার্থক্য করতে গেলে এইটেই মনে হয় সবচেয়ে বড় ব্যাপার।
জ্যাজ্ শোনা যখন বাড়িয়েছি তখন একটা জিনিস খেয়াল করলাম যে দুটো মিউজিক, দুটোই জ্যাজ, কিন্তু আমার অনভ্যস্ত কানে কোনোভাবেই একটার সাথে আরেকটা মেলানো গেলো না! সে সঙ্গীতকে দোষারোপ না করে বরং নিজের জানার ঘাটতি মনে করে এই বইটি হাতে নিলাম। খুবই সুপাঠ্য বই, এবং আমি মনে করছি উদ্দেশ্য সফল। যেকোনো শিল্পের ষোল আনা (আমাদের মত লোকের ক্ষেত্রে আট আনা) উপলব্ধির জন্য ‘কনটেক্সট' জানা প্রয়োজন। এই বইটি আমায় সে দরকারি জিনিসটাই দিল। আর দিলো শোনার জন্য বিশাল তালিকা।