Ratings8
Average rating4.1
M Caligula is a play written by Albert Camus, begun in 1938 and published for the first time in May 1944 by Éditions Gallimard. The play was later the subject of numerous revisions. It was part of what the author called the "Cycle of the Absurd", with the novel The Stranger and the essay The Myth of Sisyphus.
Reviews with the most likes.
কামু'র উপন্যাসগুলোও অতটা এনজয় করিনি যতটা করেছি এই নাটকটা।
ওঁর আর সব ফিকশিয়াস কন্টেন্টের মতই এটা নিছক আর্ট না, বক্তব্য আছে। সেই বক্তব্য অরিজিনাল ও মাইন্ডবেন্ডিং। ফ্যান্টাসটিক!
ছোকরাবয়েসি রোমান সম্রাট ক্যালিগুলার বোন মারা গেছিলো। বোন ছিল তার প্রেমিকা। প্রেমিকা মারা যাওয়ায় তার মাথা খারাপ হয়ে গ্যালো। সে বুঝতে পারলো, মানুষ একদিন মারা যায় এবং যতদিন বেঁচে থাকে তখনও মানুষের জীবনে সুখ থাকেনা। ক্যালিগুলা জানতো, সম্রাট হিসেবে তার হাতে রয়েছে একচ্ছত্র ক্ষমতা, যা ইচ্ছে তাই করার লাইসেন্স। সে ঠিক করলো, “মানুষ একদিন মারা যায় এবং...“— এই যে তার উপলব্ধি, নিজের ক্ষমতার প্রয়োগ করে বাস্তব জীবনে সেই উপলব্ধিকে সে প্রতিষ্ঠা/প্রমাণ করে দেখাবে।
শুরু হলো নির্মম হত্যাযজ্ঞ। নির্বিচারে সে মানুষ মারতে লাগলো। বন্ধু, শত্রু, বৃদ্ধ, যুবক, ধনী, দরিদ্র, পুরুষ, মহিলা, কাউকে ছাড়লো না। কারো ছেলেকে মারলো, কারো বাবাকে মারলো, কারো স্ত্রীকে কেড়ে নিলো (সবই অকারণে)। উন্মাদ+শয়তান সম্রাট তার প্রজাদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করলো। সম্রাটের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কিছু মানুষ তাকে গুপ্তহত্যা করার ষড়যন্ত্র করলো। শেষ পর্যন্ত কি তারা এই পাগল বর্বর সম্রাটকে খুন করতে সফল হলো?
মোটামুটি এই হলো নাটকের গল্প। নাট্যকার আলবের কামু সম্ভবত এই নাটকে নিজের প্রচারিত দর্শন— Absurdism (দুনিয়াতে কখন কী ঘটবে, ক্যানোই বা ঘটবে, তার কোনো ঠিকঠিকানা নেই) এবং Existentialism (পূর্বনির্ধারিত বিশেষ কোনও আদর্শের প্রভাবে নয়, মানুষ নিজেই নিজের বেঁচে থাকার কারণ/উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে)— মূলত এই দুটি দার্শনিক তত্ত্বকে রোমান সম্রাট ক্যালিগুলার উন্মত্ত এবং অযৌক্তিক কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। মানুষের নিয়তি যেমন কোনও বিধিবদ্ধ নিয়মকানুন মেনে চলেনা, ক্যালিগুলার পাগলামি যেন সেই নিয়তিরই মানুষরূপী প্রতিফলন। নিয়তির মতোই সে তার প্রজাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
নাটকটি পড়ে আমার মোটামুটি লেগেছে, যতটা আশা করেছিলাম ততটা নয়। দার্শনিক বিষয়টা হয়তো খানিকটা ফুটিয়ে তুলতে সমর্থ হয়েছেন নাট্যকার, কিন্তু তবু নাটকটির ঘটনাক্রম এবং চরিত্রনির্মাণ আমার কাছে সুসংবদ্ধ বলে মনে হয়নি। অনেক পাঠক এই নাটকটির মধ্যে আধুনিক যুগের অত্যধিক ক্ষমতাশালী শাসকদের খেয়ালখুশি মাফিক আচরণের সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন, কিন্তু আমার কাছে এই সাদৃশ্য কষ্টকল্পনা বলে মনে হয়েছে। ক্যালিগুলার কাজকর্ম ছিল পুরোপুরি পাগলামির দ্বারা চালিত। আধুনিক যুগের স্বৈরাচারী শাসকরা মোটেও ক্যালিগুলার মতো পাগল এবং হঠকারী নয়।
বেশ কিছু আকর্ষণীয় “কোটেশন” আছে এই নাটকে। একটা উদাহরণ - “Power can never be complete without a total self-surrender to the dark impulse of one's destiny.” কিন্তু এই ধরনের কথাগুলো স্রেফ সুন্দর সুন্দর কথা হয়েই রয়ে গেছে, দেওয়ালে টাঙানো ছবির মতো খানিকটা অভিনবত্ব সৃষ্টি করেছে এগুলো, ব্যাস। সবমিলিয়ে কামু-র এই নাটকটা একটা মাঝারি মানের পাঠঅভিজ্ঞতা হয়ে রইলো আমার কাছে। কিছু কিছু বিষয় মস্তিষ্কে খানিকটা চিন্তার ঢেউ তুলেছে, কিন্তু মোটের উপর চলনসই। কামুর উপন্যাসের মতো দুর্দান্ত কিছু নয়।