[b:দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স 30312241 দ্য ডিভোশন অব সাসপেক্ট এক্স Keigo Higashino https://i.gr-assets.com/images/S/compressed.photo.goodreads.com/books/1465215146l/30312241.SY75.jpg 13558363] পড়তে গিয়ে যেমন মাথা খারাপ হবার জোগাড় হয়েছিলো, এটির ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। লেখকের কল্পনাশক্তির জোর আছে স্বীকার করতেই হবে! ডিটেক্টিভ গ্যালিলিওকে ভালো লাগা আগেই শুরু হয়েছিলো যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেলো এর মধ্যদিয়ে। কুসানাগি আর উতসুমিকেও ভালো লেগেছে। তবে একটা খটকা থেকে গেলো দেখে এক তারা কম, নাহয় এটি পুরো পাঁচ-এরই দাবিদার!কাহিনীর শুরুটা গতানুগতিক লেখক শুরুতেই চিনিয়ে দিয়েছেন অপরাধীকে হলেও যতোই এগিয়েছে ততোই প্যাঁচ বেড়েছে। পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক মহাশয় শেষে সে প্যাঁচ খুলেও দিয়েছেন। কিন্তু এর মাঝে যেসব চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে ডিটেক্টিভদের, যার সাথে যোগ হয়েছে মনস্তাত্বিক দ্বন্দ্ব, পুরোটাই উপভোগ্য ছিলো। যথেষ্ট গতিময় এবং সাবলীল অনুবাদ, এক বসাতে পড়ে ফেলা যায়। যথেষ্ট উপভোগ্য।
You gotta trust your instincts, in this case, I didn't.
এমন নয় যে কাহিনী ভাল ছিলো না বা লেখনী দুর্বল ছিলো, কিন্তু বিষয়টাই এমন যে সহজে হজম হতে চায় না এবং এটা আগেও প্রমাণিত। কোনভাবেই হ্যানিবাল-এর মতো বলা যাবে না, কিন্তু খুব একটা আলাদাও নয়।
কিন্তু ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে খেতে আসেন নি' পড়ার পরে মুশকান জুবেরির হাতের জাদুকরি রান্না খাবার শখ হয়েছিলো এখন আর সেটা নেই। তবে তার সাথে আড্ডা দিতে পারলে খারাপ হতো না। প্রয়োজনবোধে খোদাদাদ শাহবাজ খান এবং নূরে ছফাকে কিছু টিপস মনে হয় দিতে পারলে মনে হয় ভালোই লাগতো।
রিডার্স ব্লক কাটানোর জন্য হুমায়ুন আহমেদের লেখা টনিকের মতো কাজ করে একথা স্বীকার করতেই হবে।
যতো উদ্ভট-অদ্ভুতই হোক না কেন তাঁর লেখা গোগ্রাসে গিলে ফেলা যায়। পরে চিন্তা-ভাবনা করে (অথবা জ্ঞানী পাঠকেরা পড়ার সময়েই) হাজারটা খুঁত ধরে সমালোচনা করতেই পারে, কিন্তু তাৎক্ষণিক একটা শান্তি পাওয়া যায়।
এই যে বইটার কাহিনীর কোনো আগামাথা নেই, ট্রেনের কিছু যাত্রীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া সব উদ্ভট ঘটনা ঘটিয়ে গেছেন তিনি, তাও তো পড়তে আরামই লাগলো। আর ট্রেনের যাত্রীরাও বলিহারি! আসলেও তো, এরকম নানান রং-বেরঙের মানুষই তো থাকে যেকোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টে।
ক্ষেত্রবিশেষে তাদের কথাবার্তায় যেমন ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠেছে, আবার তো কিছু কিছু জায়গাতে চোখের কোণ চিকচিক করেও উঠেছে!
হ্যাঁ, এটাই তার ছাঁচ, এটা হবে জেনে পড়তে বসলেও, মুগ্ধ না হয়ে পারি না আমি। এক অদ্ভুত বিষণ্ণতায় ভরিয়ে দেন তাঁর প্রতিটি লেখনিকে।
সবসময়ে হাতের কাছে রেখে দেবার এবং যখন তখন খুলে দেখবার জন্য যথেষ্ট ভালো একটা বই। কিন্তু ওই যে নিজে থেকে কিছু না করলে কিছুই করা হবে না, যে গাড্ডায় পড়ে আছো সেখানেই পড়ে থাকবে এবং আর যত সময় অপচয় হয়েছে তারসাথে যুক্ত হবে এই বই পড়ার সময়টাও।
Reading will always make you feel awesome but untill or unless you take any initiative, nothing can help you in any way, you will stuck at the same point you were before.
It had the potential to be a great book, but it turns out to be just okay. If one can finish it in one sitting or can remember and understand what the writer is trying to say, then it is worth it. One can say it is 101 of emotion management, but to know better will need some vast knowledgeable writings.
অ্যান্ড দেন দেয়ার ওয়্যার নান, দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইলস
এই যা! প্রথমে খেয়াল করি নি, পরে দেখি ২০৪ পাতার বইয়ের ২১০ পাতা পড়ে ফেলেছি! না, আদতে এ ৩৬৬ পাতার বই। কিন্তু যাক সে কথা।
অ্যাান্ড দেয়ার ওয়্যার নান পড়ার আগে বরং শুনতে শুরু করেছিলাম ‘রইলো না আর কেউ' পরে মনে হলো শুনে কাজ নেই, পড়েই ফেলি। হ্যাঁ, মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো এক আখ্যান এটি! কাহিনীর শেষ দেখলেও উপন্যাসের শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনুমান করাটাও কষ্টকর আদতে কী চলছে ডেভনের সোলজার আইল্যান্ডে।
মিস্টিরিয়াস অ্যাাফেয়ার এট স্টাইলস পড়ার সময়ে হোস্টিংস এর সাথে সাথে আমারো সন্দেহের তীর ঘুরে গিয়েছে এদিক থেকে ওদিকে। কিন্তু সমাপ্তিতে এসে মনে হলো এ যে চেনা প্যাটার্ন, এটা তো আগেও দেখছি আমি! কিন্তু তাই বলে একই ছাঁচে তৈরি এ দুটো কাহিনীর সাদৃশ্য শুধু ওটুকুই। মন্দ হয়, ছোটোখাটো গড়ণের পোয়েরোর বিশাল মনের তো প্রকাশ ঘটলো!
শুরুতেই বলে রাখি এটা এই বইয়ের রিভিও নয়। এটা আমার মনের অবস্থা এই বইটি পড়ার পরে।প্রথমে যখন শুরু করলাম মনে হলো এটা বুঝিবা [b:A Textbook Case 15791551 A Textbook Case (Lincoln Rhyme, #9.5) Jeffery Deaver https://i.gr-assets.com/images/S/compressed.photo.goodreads.com/books/1362346906l/15791551.SX50.jpg 21513162] এর মতো কিছু একটা। কিন্তু না বিশাল এই কাহিনী যতোই এগিয়ে যেতে লাগলো চারপাশটাই কেমন যেন বদলে যেতে শুরু করলো। তবে বাংলাদেশিদের কথা যে লেখক লিখেছেন দেখে কিছুটা ভালোই লাগলো
এটাকে থ্রিলার বলা হলেও আমার চোখে এটা ডিটেক্টিভ উপন্যাস। অন্তত আমার পড়া আর সব থ্রিলারের চাইতে এটা অনেক আলাদা। পাতায় পাতায় নেই ধুন্ধুমার একশন, খুনোখুনী, ধাওয়া-পালটা ধাওয়া। সত্যি বলতে পুলিশের ডিটেকটিভদের রুটিন জিজ্ঞাসাবাদের কারণে বইটাকে বেশ ধীরগতির বলে মনে হচ্ছিলো।
তবে শেষের ১/৫ এ এসে যা দেখা গেলো, সেটা আসলেই বিস্ময়ে হাঁ হয়ে যাবার মতো ঘটনা। এভাবেও চিন্তা করা যায়! এভাবেও ঘটনা ঘটতে পারে! এই ভাবনা মাথায় আসতে বাধ্য।
প্রেম-ভালোবাসা, হিংসা-প্রতিহিংসা, ঈর্ষা এসব ছাপিয়ে গেছে মূলবিষয় ‘হত্যা'কে।
সংক্ষেপে বইটা সম্পর্কে বলতে হলে বলতে হবে - হায় ভালোবাসা!
‘উপন্যাসে গোয়েন্দা ভুল করে না, বাস্তবের গোয়েন্দারা অহরহ ভুল করে,' যখন কাহিনীর গোয়েন্দার মুখেই এই কথা শোনা যায়, তখন তার যে কী অবস্থা, সেটা আর বলে দিতে হবে না।
একেন বাবুও নাহয় সহজ-সরল মানুষ, এই দেবেন্দ্রবিজয় যে কী সেটা বলতে গেলে স্পয়লার দেয়া হয়ে যাবে।
তবে যেহেতু বাংলা সাহিত্যের প্রথম দিককার গোয়েন্দা গল্প, পড়ে দেখা যেতেই পারে। প্লটটা ইন্টারেস্টিং, শুধু গোয়েন্দা মহাশয় ভীষণ বোকা।
ঠিক জমলো না!
একটা উপন্যাসে একটা হিমু এমনকি সাথে একটা শুভ্র থাকলেও মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এতে হিমুর সংখ্যা একাধিক।
শিবা ও শিবার ফিরে আসা আখ্যানের মূল নায়ক কি আসলেই শিবা?
নাকি ননী, শচী, ভবানী স্যার, নিতু, পারমিতা, উৎপল, গোমেজ এরাই! শিবার শিবা হয়ে ওঠার পিছে যে এদের অবদান হিমালয়কেও ছাড়িয়ে যায়। বিশেষ করে ননী, আমার চোখে ওই হলো এ আখ্যানের মেরুদণ্ড!
Well, though it took hell lot of time to finish the book also I'm not going to use this book to change my life but still, it deserves a five star. For a self-loathing person like me, it was total reflection of myself. Whenever I read it I could always relate it to myself. But alas! I'm not going to use this book to change myself.
For once, Watson, I am being guided by my instinct and not by my intellect. What is it, I wonder, that gives me such cause for alarm?And yet I stand accused of dilettantism and must plead guilty.
*‘He was tortured to death, Mr Hardcastle, his bones broken one at a time. I have sworn to find his killer and bring him to justice. I cannot do so if you refuse to help.'
These sentences points to me that he is not the emotionless sociopath, may be to an extent but not wholely, there is humanity in him, and he is feeling emotions to a degree.
And about the book, I enjoyed it although there were some moments, which itched me, also, overall plot took quite some time to expand with all the brunches, but to me, it took extremely lesser time to reach the conclusion.
যাক, মোটের ওপরে ভালো লেগেছে এই হলো কথা। এমনিতেই স্লো রিডার, তারপরে অনেকদিন লেগেছে মন বসাতে, আর তারপরে তো দুই দিনেই পড়লাম। শেষ টুইস্টটা যেমন ভেবেছিলাম তেমন হলোনা। তারপরেও, হোমসের অন্যসব অভিযানের তুলনায় এটা বেশ ভিন্ন ধরণের। হোমসকে বেশ মানবিক লাগলো। তার উপরে এমন এক অভিজ্ঞতায় হোমস পরেছে, যেটা স্বপ্নেও চিন্তা করতে পারি নি। সব সুতোই শেষে এসে মিলে গেলো। দেখাযাক, পরের বইতে এন্থনি সাহেব আবার কী দেখাচ্ছেন।
কাহিনীর গতিময়তা, উত্থান-পতন সবই বেশ ভালো ছিলো। তারপরেও কেন ২ তারা কম দিলাম? এ নিয়ে যাই বলতে যাবো তাই স্পয়লার হয়ে যাবে। একারণে যা লিখেছিলাম লিখবো বলে, তাও লিখলাম না। পড়ে দেখাতে পারেন সময়টা বেশ ভালো কাটবে।
This hit hard!
Either I can tell it was a true love story, or I can tell some idiots making idiotic decisions because of a hallucination known as love!
But nonetheless, it hit hard!
এমন এক সময়ে বইটা হাতে নিয়েছিলাম, যখন এর অনেক কথাই মনে হয়েছে এই ২০২৪ এ এসেও প্রাসঙ্গিক। কিছু কাহিনী খটকা তৈরি করলেও লেখক তো শুরুতেই বলে দিয়েছে এমন হতে পারে সে কথা।
টাইপো আছে কিছু কিছু হুট করে সেসব চোখে লাগে বিশ্রীভাবে। এছাড়াও কিছু কিছু বাক্য কেমন যেন পড়ে ঠিক শান্তি পাওয়া যায় না, উদাহরণ হিসেবে বলে যেতে পারে - অন্ধকারে যায় না দেখা ভালো
এদিকের মিডিয়াতে দেখানো হয় পেশোয়ারে পিচের বাম্পার ফলন হচ্ছে এ লাইন পড়ে হেসে দিয়েছিলাম।
আরেকটা কথা, হিউম্যান শিল্ড হিসেবে দেয়া উদাহরণটাও চোখে লেগেছে।