Ratings3
Average rating4
We don't have a description for this book yet. You can help out the author by adding a description.
Reviews with the most likes.
লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী হুমায়ুন আজাদের বিখ্যাত বই। মূলত কিশোর বা তরুণ বয়সী পাঠকদের উদ্দেশ্যে লেখা এ বইতে তিনি খুব ছোট পরিসরে বাঙলা ভাষার এক হাজার বছরের ইতিহাস তুলে ধরেছেন। যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাঙলা ভাষা আজকের এই অবস্থানে এলো, সে পথের নানান বাঁকে আলো জ্বালিয়ে রেখেছে বাঙলা সাহিত্যের বিভিন্ন সময়ের সাহিত্যের বিভিন্ন নিদর্শন। আজাদ কল্পনা করেছেন যে কিশোর বা কিশোরীটি এ বইটি পড়বে, সে যেন বাঙলা সাহিত্যের এই নিদর্শনগুলোকে এক একটি লাল নীল দীপাবলি হিসেবে দেখবে, যেন সে আসরের মধ্যমণি হয়ে বসে রয়েছে, আর তার চারপাশ আলো করে রেখেছে এই দীপাবলি।
বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই প্রশ্ন আসে, আমরা বাঙালিরা এলাম কোথা থেকে? নৃতাত্ত্বিকদের গবেষণার ভিত্তিতে আজাদ জানাচ্ছেন, আমাদের পূর্বপুরুষেরা মূলত সিংহলের ভেড্ডারা। আদিবাসী সাঁওতাল, মুণ্ডা, মালপাহাড়ি, ওরাঁও-এঁরা তো বটেই, ভেড্ডা উপাদান পাওয়া গেছে নিম্ন ও উচ্চবর্ণের হিন্দু, এবং মুসলমানের মাঝেও। মোটাদাগে আমরা ভেড্ডাদের উত্তরপুরুষ হলেও আমাদের রক্তে মিশে আছে আরো বহু জাতির রক্ত (যেমনঃ মঙ্গোলীয়, ইন্দো-আর্য, পারসিক শক ইত্যাদি)। বাঙালি মুসলমানেরা অনেকেই যদিও গর্ব করে বলেন তাঁরা নাকি আরবীয় বা পারসিক বংশোদ্ভূত, কিন্তু সত্যিটা হলো তাঁরা মূলত বাঙালি। মুসলমানেরা এই দেশে আসবার পর ত্রয়োদশ শতাব্দীর কিছু পরে উৎপীড়িত নিম্নবর্ণের হিন্দু এবং বৌদ্ধরা মুসলমান হওয়া শুরু করে।
বদলের প্রকৃতি অনুসারে বাঙলা ভাষাকে ৩টি স্তরে ভাগ করেছেন পণ্ডিতেরা। প্রথম স্তরটি প্রাচীন বাঙলা ভাষা যার প্রচলন ছিলো ৯৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ অব্দি। চর্যাপদ এ সময়েরই নিদর্শন। এরপরের ১৫০ বছর (১২০০-১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ) বাঙলা ভাষার কোন নমুনা পাওয়া যায়নি, এ সময়টিকে বাঙলা সাহিত্যের অন্ধকার যুগ বলা হয়। ১৩৫০ থেকে ১৮০০ অব্দি যে ভাষাটির প্রচলন ছিলো সেটিকে বলা হয় মধ্যযুগের বাঙলা ভাষা, এ ভাষাও আজকের আধুনিক বাঙলা ভাষার মতো নয় পুরোপুরি। এ সময়ের মহৎ কবিদের মাঝে রয়েছেন বড়ু চণ্ডীদাস, মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, বিজয়গুপ্ত, চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, ভারতচন্দ্র, আলাওল, কাজী দৌলত প্রমুখ। মধ্যযুগের অন্যতম নিদর্শন মঙ্গলকাব্য; দীর্ঘ এ কাব্যগুলোতে কবিরা মূলত দেবতাদের মর্ত্যলোকে প্রতিষ্ঠার গল্প বলতেন। এ সময়ের সকল কাব্যই দেবতাকেন্দ্রিক, মানুষ তাতে প্রাধান্য পায়নি।
বাঙলা সাহিত্যের প্রথম প্রদীপ চর্যাপদ। এ বইটির বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে; কেউ একে চর্য্যাচর্য্যবিনি-য় বলেন, কেউ বলেন এর নাম চর্য্যা-র্য্যবিনি-য়। এই বইটির কথা প্রথম জানতে পাওয়া যায় মাত্রই এই সেদিন ১৯০৭ সালে। পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এটি উদ্ধার করেন। চর্যাপদ-এর সাথে তিনি আরো দুটি বইও সেখানে আবিষ্কার করেনঃ ডাকার্ণব, এবং দোহাকোষ। এই ৩টি বইকে একত্র করে তিনি ১৯১৬ সালে হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা নামে একটি বই প্রকাশ করেন। চর্যাপদে সব মিলিয়ে ৪৬টি পূর্ণ, ও ১টি খণ্ডিত কবিতা সংকলিত হয়েছে। এ কবিতা বা গানগুলো রচনা করেছেন ২৪ জন বৌদ্ধ বাউল। চালচুলোহীন সমাজের নিচুতলার মানুষেরা ছিলেন আমাদের ভাষার প্রথম কবিকুল। এই কবিদের মাঝে অন্যতম কাহ্নপাদ, লুইপাদ, সরহপাদ, চাটিল্লপাদ, ডোম্বিপাদ, ঢেন্টপাদন, শবরপাদ। এঁদের মাঝে কাহ্নপাদ বা কৃষ্ণাচার্য সবচেয়ে বেশি ১২টি কবিতা লিখেছেন। এরপর ভুসুকপাদ, তিনি লিখেছেন ৬টি কবিতা। সরহপাদ লিখেছেন ৪টি, কুক্কুরিপাদ ৩টি, লুইপাদ, শান্তিপাদ, ও শবরপাদ লিখেছেন ২টি করে কবিতা। বাকি সবাই ১টি করে লিখেছেন।
চর্যাপদের কবিতার বিষয় নিয়ে কয়েকটি কথা না বললেই নয়। এ কবিতাগুলোতে প্রায়ই উঠে এসেছে দরিদ্র কবির জীবন সংগ্রামের কথা। আছে সমাজের উঁচুতলার ধনী লোকেদের অত্যাচারের বর্ণনাও। আজাদ মন্তব্য করেছেন বাঙলা সাহিত্যে শ্রেণীসংগ্রামের সূচনা হয়েছিলো এই কবিতাগুচ্ছেই। চর্যাপদের কবিরা কী নিদারুণ কষ্টে দিন কাটিয়েছেন তার একটি ছবি দেখা যাকঃ
টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী।
হাড়ীত ভাত নাহি নীতি আবেশী।।
বেঙ্গ সংসার বড্হিল জাঅ।
দুহিল দুধ কি বেন্টে ষামায়।।
সোণে ভরিতী করুণা নাবী।
রুপা থুই নাহিক ঠাবী।
সোনার তরী
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
পদসমুদ্র
পদামৃতসমুদ্র
পদকল্পতরু
পদকল্পলতিকা
গীতিচিন্তামণি
পদচিন্তামণিমালা
পুরুষপরীক্ষা
কীর্তিলতা
গঙ্গাবাক্যাবলী
বিভাসাগর
শবেমিরাজ
নবীবংশ
রসুলবিজয়, ওফাতে রসুল, ইবলিশনামা, জ্ঞানচৌতিশা, জ্ঞানপ্রদীপ, জয়কুম রাজার লড়াই
সতীময়না
লোরচন্দ্রাণী
সতীময়না
পদ্মাবতী
পদুমাবত
সয়ফলমূলক-বদিউজ্জামাল
ডিসগাইস
ভদ্রার্জুন
ফায়েড্রা
কীর্তিবিলাস
মার্চেন্ট অফ ভেনিস
ভানুমতী-চিত্তবিলাসনাটক
রোমিও-জুলিয়েট
চারুমুখচিত্থরা
কৌরব বিয়োগ
রজতগিরীনন্দিনী
বেনীসংহার, রত্নাবলী, অভিজ্ঞানশকুন্তল, মালতীমাধব, রুক্মিণীহরণ, কংসবধ, ধর্মবিজয়, বুঝলে কিনা, যেমন কর্ম তেমন ফল
কুলীনকুলসর্বস্ব
কুলীনকুলসর্বস্ব
নবনাটক
বিধবাবিবাহনাটক
সাবিত্রী-সত্যবান
মালতীমাধব
কিঞ্চিৎ জলযোগ
অলীক বাবু
পুরুবিক্রম, সরোজিনী, অশ্রুমতি, স্বপ্নময়ী
রজতগিরি, হঠাৎ নবাব, দায়ে পড়ে দারগ্রহ
অভিজ্ঞানশকুন্তল, উত্তরচরিত, মালতীমাধব, মুদ্রারাক্ষস, মৃচ্ছকটিক
কতো নদী সরোবর